করোনা পরিস্থিতিতে এতিম ও দুস্থদের মাঝে ত্রান বিতরণে
পবিত্র কোরআনে যেমন এতিম, মিসকিন ও দরিদ্র অনাথ শিশু-কিশোরদের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তেমনি বহু হাদিসেও রাসুল(সা:) বঞ্চিত, অবহেলিত এবং দুনিয়ার আনন্দ উৎসব হতে উপেক্ষিত এ শ্রেণীকে সমাজে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন এবং তাদের নানা অধিকারের বিবরণ দান করেছেন। ফলে রাসুল (সা:)-এর জীবদ্দশায় সাহাবায়ে কেরামের নিকট এ এতিম মিসকিনরা স্বতন্ত্র মর্যাদার অধিকারী হয়। একবার রসূলুল্লাহ (সা:) বলেছিলেন; ‘মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ঘর সেটি, যাতে কোনো এতিম থাকে এবং তাঁর সাথে ভালো আচরণ করা হয় এবং সবচেয়ে মন্দ মুসলমানদের সে ঘর, যাতে এতিম থাকে এবং তার সাথে অসদাচরণ করা হয়।’ (ইবনে মাজাহ)
এতিমদের সম্পর্কে কোরআনে অবতীর্ণ আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে অভিভাবকহীন এবং উত্তরাধিকারহীন এ উম্মতের পৃষ্ঠপোষক হওয়ার জন্য রাসুল (সা:) উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে থাকেন। তিনি খোদ ওদের অভিভাবক ও পৃষ্ঠপোষক হওয়ার কথা ঘোষণা করেন এবং তাদেরকে নিজের বরাবর স্থান দেন। ২১ মে ২০২০ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় হিউম্যান রাইটস লিগ্যাল এইড সোসাইটি'র আয়োজনে ঢাকার মানিক নগরে জহিরুদ্দিন আহমদ ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ৮০০ ছাত্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী উপহার ও ১ মাসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে সোসাইটির চেয়ারম্যান মো:আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন যে, হজরত মুহাম্মদ (স:) আরো বলেন; ‘আমি এবং কোনো এতিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি জান্নাতে দুই আঙ্গুল ব্যবধানের দূরত্বে অবস্থান করব।
তিনি আরো বলেন; ‘যে ব্যক্তি কোনো এতিম শিশুকে নিজের ঘরে এনে তাকে পানাহার করায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাত দান করবেন, তবে শর্ত হচ্ছে, সে এমন পাপ করেনি যা ক্ষমার অযোগ্য।
সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম সুমনের আর্থিক পৃষ্টপোকতায় এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের মূখ্য সমন্বয়ক প্রকোশলী মোহাম্মদ আলী আশরাফ ও মিডিয়া প্রকল্পের মূখ্য-সমন্বয়ক মাহবুব আলম লিটন আরো কর্মকর্তা বৃন্দ। জনাব আনোয়ার হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, আজ এতিমদের হক মেরে খাওয়ার জন্য একটা শ্রেনী উঠে পরে লেগেছে তারা আল্লাহ্র ও রাসুলের দুশমন।
রসূলুল্লাহ (সা:)-এর এ শিক্ষার ফলে আরবদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এতিমদের ব্যাপারে যাদের অন্তর ছিল নিষ্ঠুর, পাষাণ এবং কঠিন পাথর, তা মোমের চেয়ে নরম হয়ে যায়। এমনকি প্রত্যেক সাহাবীর ঘর একেকটি এতিমখানায় পরিণত হয়ে যায়। হযরত আয়েশা (রা:) নিজের খান্দান এবং আনসারে এতিম শিশুকন্যাদের লালন-পালন করতে থাকেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:)-এর অবস্থা ছিল এই যে, তিনি কোনো এতিম শিশু ব্যতীত কখনও খেতেন না।
পরে সোসাইটি কর্মকর্তা ও দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে দোয়া করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি জুবায়ের আহমাদ।
Comments
Post a Comment